virat kohli fan in eden gardens kolkata: কেমন আছে সেই ছেলে ঋতুপর্ণ পাখিরা

virat kohli fan in eden gardens kolkata: বাড়ির ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই বিরাট কোহলির অন্ধভক্ত। ঘরের প্রতিটি দেয়ালে ঝোলানো কোহলির ছবি। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা গড়ে ওঠে বিরাটকে দেখেই, তাঁকে আইকন মেনে ব্যাট হাতে তুলে নেওয়া। কিন্তু কে ভেবেছিল, ইডেনে ম্যাচ দেখতে গিয়ে এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে ছেলেটা, যা নিয়ে এখন তোলপাড় চারদিক

জামালপুরের কালাপাহাড় এলাকার পাখিরা পরিবারের সেই ছেলেটি, ঋতুপর্ণ পাখিরা, এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

virat kohli fan in eden gardens kolkata

বর্ধমান কর্ড লাইনের জৌগ্রাম স্টেশন থেকে অটোয় মাত্র ২৫ মিনিটের পথ, জামালপুরের কালাপাহাড় এলাকার একটি ছোট্ট, প্রত্যন্ত গ্রাম। সেখানেই বাড়ি মহাদেব পাখিরার, আর তাঁরই ছেলে ঋতুপর্ণ পাখিরা এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
গত শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কেকেআর বনাম আরসিবির খেলা দেখতে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। তবে সেদিনের ম্যাচের উত্তেজনা ছাড়িয়ে এখন অন্য এক কারণেই সে সংবাদের শিরোনামে ।

তারপর থেকে দুই দিন বাড়ি ফেরেনি। নিয়ম লঙ্ঘন করে মাঠে প্রবেশ করে বিরাট কোহলির কাছে পৌঁছে যান। নিজের আইকন কোহলিকে স্পর্শও করেন। অনুপ্রবেশের জন্য দুই দিন হাজতেও বাস করতে হয়। জামিন পেয়ে ছেলে ঘরে ফেরায় অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মাত্র দুই দিনেই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন ঋতুপর্ণ। স্টেশন থেকে গ্রাম সর্বত্রই তাঁকে নিয়ে বিরাট চর্চা। তাঁর ভাইরাল ভিডিও ঘুরছে ফোনে ফোনে। গ্রামের সরু পথ পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় ঋতুপর্ণদের বাড়িতে। আর্থিকভাবে একেবারেই স্বচ্ছল নয় পাখিরা পরিবার।ছোট্ট বাড়ির মধ্যে বাবা-মা-দিদিদের সঙ্গে বিরাট স্বপ্ন নিয়ে দিন যাপন ঋতুপর্ণ পাখিরার। ঘরের মধ্যে কোহলির একাধিক ছবি। আসলে ঋতুপর্ণের ধ্যান-জ্ঞাণ শুধুই কোহলি। কোহলির সঙ্গে একদলে খেলবেন এই স্বপ্ন নিয়েই ছোটবেলায় হাতে তুলে নেন ব্যাট, কিন্তু আর্থিক প্রতিকূলতায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটে। কিন্তু ব্যাট-প্যাড-গ্লাভসগুলো বড্ড যত্নে রেখেছেন ঋতুপর্ণ।বাবার ছোট্ট একটা দোকান, জমি জমাও বিশেষ কিছুই নেই, উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ঋতুপর্ণকে মাঝেমধ্যেই পার্টটাইম কাজও করতে হয়। এতকিছুর মধ্যেও বজায় রেখেছেন কোহলি প্রেম। বিরাটেই টানেই অতি কষ্ট করে কেকেআর বনাম আরসিবি ম্য়াচের টিকিট জোগাড় করেন। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামের ছোট্ট পথ ধরেই চলে গিয়েছিলেন কলকাতার ইডেনে। তারপর শুধু খেলা দেখাই নয়, অসীম সাহস নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে মাঠে কোহলির কাছে পৌঁছে যান। নিজের আইকনকে জড়িয়ে ধরেন, শরীরও স্পর্শ করেন। একটু কথাও হয়। ঋতুপর্ণের আবেগ, ভালোবাসা খাঁটি, কিন্তু কোহলির কাছে যাওয়ার উপায়টা যে অবৈধ। ফলে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরা হয়নি। ঠিকানা হয় ময়দান থানা। টানা রবিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট একদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সোমবার মুক্তি পান। শনিবার শুধু বিরাটের স্পর্শই পাননি, শেষ দুই দিনে অনেক শিক্ষাও হয়েছে। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন ঋতুপর্ণ।ছেলে বাড়ি ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। ছেলে যে ভুল করেছে সেটা মানলেন বাবা-মা-ও। সংসারে আর্থিক অনটন আছে। তার মধ্যেই আগামীদিনে ছেলেকে ক্রিকেটার তৈরি করতে চান ঋতুপর্ণের বাবা মহাদেব পাখিরা। তিনি বলেন, আমাদের আর্থিক ক্ষমতা কম তার মধ্যেই ওকে ক্রিকেটের সব সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে আগামী দিনে ও ক্রিকেটার হতে পারে। আর কখনও আমার ছেলে এমন কাণ্ড করবে না।

ঋতুপর্ণ পাখিরা পরে সাক্ষাৎকারে যা বললেন

রিপোর্টের : ঋতুপর্ণ তুমি যখন পৌঁছে গেলে বিরাট কোহলির কাছে সেখানে তোমার তখন ফিলিং কি হয়েছিল ?
ঋতুপর্ণ : ফিলিং বলতে ভগবানের সামনে গেলে কিছু না বললে যেমন হয় হাত পা লোমপম সব দাঁড়িয়ে গেছিল বুঝতে পারিনি কি করবো পায়ে ধরেছিলাম তার আবার পৃথিবীতে সবথেকে যদি কেউ সুখী ব্যক্তি হয়ে থাকে সেটা আমি মনে করেছিলাম নিজেকে এর থেকে সুখী কাউকে মনে করিনি ।
রিপোর্টের : সেটা কেন তোমার কি একটা আগে থেকে আইডিয়া ছিল বা আগে থেকে প্ল্যান ছিল ?
ঋতুপর্ণ : ইচ্ছা তো ছিল অনেকদিন ধরেই যে পা ছোব কিছু করার নাই করে ফেলেছি ।
রিপোর্টের : সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তুমি যখন গেলে তখন বিরাট কোহলি তোমাকে কি বলল ?
ঋতুপর্ণ : নাম জিজ্ঞেস করলো নাম বললাম ভাই বলল ভাই তুই ইহাসে ভাগ যা এসেই বলা ফির মেনে পাকার লিয়া ফির ছোড় দিয়া বোলা ইসকো কুছ মাত করনা লেকে যাও আর ধীরে সে কুছ মাত করনা এসেই বলা ফির ছড় দিয়া ।

স্বাভাবিকভাবেই পুরো বিষয়টা একদিকে যেমন বোঝা যাচ্ছে যে বিরাট কোহলিকে ছুঁয়ে ঋতুপর্ণ পাখিরা তার ভালো লাগছে এবং পাশাপাশি এই যে আগামী ম্যাচগুলো সে যেমন যেতে পারবে না কিন্তু পাশাপাশি বিরাট কোহলিকে টিভি থেকে দেখবে সে কথাও বলছেন স্বয়ং ঋতুপর্ণ পাখিরা ।

কালকের খবর

Leave a Comment